কুরআনের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ও ফজিলত
পবিত্র কুরআনে নিকাহ্ (বিবাহের ) বিষয়ে খুব উৎসাহিত করা হয়েছে।
কুরআনের সূরা নিসার তিন নম্বর আয়াতে নিকাহের নির্দেশ দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
(সূরা নিসা: ৩)
অর্থ: সুতরাং তোমরা নিজেদের পছন্দের মেয়েদের বিয়ে করো, দুই দুই, তিন তিন, চার চার।
সূরা নিসার অপর একটি আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
(সূরা নিসা : ২৪)
অর্থ: এবং এ ছাড়া, সমস্ত মহিলা তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, এই শর্তে যে তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে বিবাহ কর, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়।
সূরা নিসার এর পরের আয়াতে (২৫ নং আয়াতে) আল্লাহ্ তায়ালা বলেন:
(সূরা নিসা: ২৫)
অর্থ: আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন-মুমিন নারীদেরকে বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে না, সে (নিকাহ্ করবে) তোমাদের মুমিন বান্দি (দাসী) যুবতীদের মধ্য থেকে, তোমাদের হাত যাদের মালিক হয়েছে তাদের কাউকে।
কুরআনের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ও ফজিলত
সূরা নূরের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা ঘোষণা করেন:
(সূরা আন-নূর: ৩২)
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও।
Quraner aloke Bibaher gurutto o fojilot
এই আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত (ইশারা) করে যে, পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে এবং সন্তানসন্ততি লাভের উদ্দেশ্যে নিকাহ্ (বিবাহ্) আল্লাহর কাছে অত্যন্ত সম্মানজনক ব্যাপার।
কুরআন ও হাদীসে নিকাহ সম্পর্কে অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
তাই প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিয়ে করা জরুরী এবং বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো নোংরা ও অপবিত্র এবং গুনাহের পথে যাওয়া মোটেও কাম্য নয়।
আর যে ব্যক্তি বিবাহ করতে সক্ষম হয় না, তার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে সে যেন বেশি পরিমাণে রোজা রাখে।
কারণ সেই রোযার কারণে তার শারীরিক চাহিদা কমে যায়।
আর মানুষের শারীরিক চাহিদা কমে গেলে সে শয়তানের ধোঁকা ও গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে, ইন শা আল্লাহ্।
ফিক্বহে হানাফীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কিতাব “আদ-দুররুল মুখতার” এর মধ্যে বলা হয়েছে যে বিয়ের কয়েকটি স্তর (Level) আছে।
কখনো কারুর জন্য বিয়ে করা ফরয হয়ে যায়, আবার কখনো কারুর জন্য বিয়ে করা হারামও হয়ে যায়।
যে ব্যক্তির এরকম অবস্থা হয়ে যায় যে যদি সে বিয়ে না করে তাহলে যেনায় (ব্যভিচারে) লিপ্ত হয় যাবে, তার জন্য বিয়ে করা ফরয।
আর যদি কোন ব্যক্তি এরকম মনে করে যে আমি যদি বিবাহ করি তাহলে স্ত্রীর উপর জুলুম ও মারধর করবো, তাহলে তার জন্য বিয়ে করা হারাম।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তা মেনে চলার তৌফিক দান করুন, আমীন।
-:আরো পড়ুন:-
ইসলামী বিবাহের আসল উদ্দেশ্য কি?
কোন মাসে বিয়ে করা উচিত না?
ইসলামী শরীয়তে বিবাহের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়, দিন, মাস নেই।
ইসলামী বিবাহ যেকোনো দিন যেকোনো মুহূর্তে করা যেতে পারে।
বিবাহের বিষয়ে কুরআন কি বলে?
কুরআনে নিকাহের নির্দেশ দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ۔
(সূরা নিসা : ৩)
সুতরাং তোমরা নিজেদের পছন্দের মেয়েদের বিয়ে করো, দুই দুই, তিন তিন, চার চার।
وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ۔
(সূরা নিসা : ২৪)
এবং এ ছাড়া, সমস্ত মহিলা তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, এই শর্তে যে তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে বিবাহ কর, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়।
وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلًا أَن يَنكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِن مَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ۔
(সূরা নিসা : ২৫)
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন-মুমিন নারীদেরকে বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে না, সে (বিবাহ করবে) তোমাদের মুমিন বান্দি (দাসী) যুবতীদের মধ্য থেকে, তোমাদের হাত যাদের মালিক হয়েছে তাদের কাউকে।
وَأَنكِحُوا الْأَيَامَىٰ مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ۔
(সূরা: আন-নূর: ৩২)
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠক!
আমার নাম মোঃ নাজামুল হক, আমি একটি ইসলামী মাদ্রাসার শিক্ষক।
আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনে ইসলামিক প্রবন্ধ লিখতে থাকি, যাতে মানুষ সঠিক বিষয় জানতে পারে।
আপনি আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং সঠিক তথ্য থেকে উপকৃত হন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের কোন ভুল সম্পর্কে জানাতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।
1 thought on “কুরআনের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ও ফযীলত-Quraner aloke Bibaher gurutto o fojilot”