নামাযের ফরয কয়টি ও কি কি?
Namazer moddhe o baire koita Foroz o ki ki?
ফরয সেই কাজগুলো কে বলা হয় যা আদায় করা অত্যন্ত জরুরি বা অনিবার্য।
নামাজের মধ্যে যে সব ফরজ আছে তা ছেড়ে দিলে বা কম করে দিলে নামায মোটেই হবে না, পুনরায় নতুন ভাবে শুরু করে পড়তে হবে।
যেমন: রুকূ করা, সেজদা করা ইত্যাদি।
আর কোন ফরয বেশি করে দিলে সাহু সিজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে।
নামাযের মধ্যে মোট ফরয হচ্ছে ৭+৬=১৩ টি।
নামাজের বাহিরে ফরজ হচ্ছে ৭ টি।
আর নামায শুরু হওয়ার পর ভিতরে ৬ টি।
এই ১৩ টি ফরযের মধ্যে যদি কোন একটি ফরয ভুলক্রমে ছেড়ে যায় তাহলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
আবার পুনরায় সেই নামাজটি আদায় করে নিতে হবে।
নামাজের বাহিরে সাতটি ফরজ
Namazer baire 7 ta Foroz
নামাজের বাইরে সাতটি ফরয, এগুলোকে নামাযের শর্ত বলা হয়।
1. শরীর পাক (পবিত্র) হওয়া।
[সূরা মায়িদাহ: ০৬, সুনানে তিরমিযী, হাদীস: ০৩]
2. কাপড় পাক (পবিত্র) হওয়া।
[সুরা মুদ্দাসসির:০৪]
3. নামাজের জায়গা পাক (পবিত্র) হওয়া।
[বাকারা: ১২৫]
4. সতর ঢাকা (পুরুষের নাভি থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত এবং নারীদের চেহারা, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও পায়ের পাতা ছাড়া গোটা শরীর ঢেকে রাখা ফরজ )
[মুসনাদে আহমাদ: ৬৭৫৬]
5. কিবলামুখী হওয়া।
[সহীহ বুখারী: ৬২৫১]
6. ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া।
[সুরা নিসা: ১০৩]
7. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাজের নিয়ত করা।
[সহীহ বুখারী: ০১]
নামাজের ভিতরে ছয়টি ফরজ
Namazer vitore 6 ta Foroz
নামাযের ভিতরে ছয়টি ফরয, এগুলোকে নামাজের আরকান বলা হয়।
1. তাকবিরে তাহরিমা অর্থাৎ শুরুতে আল্লহু-আকবার বলা।
[সূরা মুদ্দাসসির: ০৩] [সহীহ বুখারী: ৮৩৩]
2. ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া।
[সূরা বাকারাহ্: ২৩৮] [সহীহ বুখারী: ১১১৭]
3. কিরাত পড়া।
(অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল নামাজের প্রতি রাকাতেই ক্বিরাত পড়া ফরজ )।
[সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০]
4. নামাজের প্রত্যেক রাকাতে রুকু করা।
[সুরা বাকারা: ৪৩]
5. প্রত্যেক রাকাতে দুটি করে সিজদা করা।
[সুরা হজ্জ: ৭৭]
6. শেষ বৈঠক করা (নামাজের শেষে তাশাহহুদ পড়ার পরিমাণ বসা)
[আবু দাউদ- ৯৭০]
➡️ বিঃদ্রঃ- নামাজি ব্যক্তির নিজস্ব কোনো কাজের মাধ্যমে (যেমন সালাম ফেরানো ইত্যাদির মাধ্যমে) নামাজ থেকে বের হওয়াও একটা ফরজ ।
[আল বাহরুর রায়েক: ১/৫১৩]
➡️ বিঃদ্রঃ- নামাজের মধ্যে কোনো ফরজ ভুলক্রমে বাদ পড়লেও নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সাহু সিজদা করলেও নামাজ সহীহ হবে না।
[ফাতাওয়া শামি: ৪৪৭]
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে নামায পড়া ও সমস্ত আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
-:আরো পড়ুন:-
নবী ও রাসূল ছাড়া অন্য ব্যক্তির জন্য ‘আলাইহিস সালাম’ বলা যাবে কি না?
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠক!
আমার নাম মোঃ নাজামুল হক, আমি একটি ইসলামী মাদ্রাসার শিক্ষক।
আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনে ইসলামিক প্রবন্ধ লিখতে থাকি, যাতে মানুষ সঠিক বিষয় জানতে পারে।
আপনি আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং সঠিক তথ্য থেকে উপকৃত হন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের কোন ভুল সম্পর্কে জানাতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।