প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস মেঘের গর্জন বজ্রপাতের সময় পড়ার দুআ
Jhor Batas Megher Gorjon Bojropat er Dua
প্রচণ্ড ঝড়-বাতাস বইতে শুরু করলে যে দু’আ পড়তে হয়।
প্রচণ্ড বেগে বায়ু প্রবাহের সময় পড়ার দোয়া
বৃষ্টি একটি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। কিন্তু কখনো কখনো আবার বৃষ্টি আজাবের রূপ ও নিতে পারে।
মা আয়েশা (রঃ) বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝড় ও বাতাস বইত, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠত।
এই অবস্থা দেখে তিনি এদিক-সেদিক হাঁটাহাঁটি করতে থাকতেন এবং এই দোয়া পড়তে থাকতেনঃ
দুআ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ
আল্লাাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খইরাহা ওয়া খইরা মা-ফী-হা ওয়া খইরামা উরসিলতা বিহি ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ফী-হা ওয়া শাররি মাা উরসিলাত বিহী।
Allahumma inni as-aluka khairaha, wa khaira maa-fi-ha, wa khaira maa ursilat bihi, wa a’uzubika min sharri maa fi-ha, wa sharri maa ursilat bihi.
অর্থ
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট (এই বৃষ্টির মাধ্যমে) এর কল্যাণ ও এর সাথে যা কিছু মঙ্গল পাঠানো হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করছি,
এবং এর মধ্যে যা কিছু অমঙ্গল আছে বা অমঙ্গল পাঠানো হয়েছে তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি ।
এরপর যখন বৃষ্টি সম্পূর্ণ হয়ে যেতো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শান্ত হতেন।
(সুনান তিরমিজি, হাদীস নং-৩৪৪৯)
আয়েশা রঃ আরো বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সা:-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি যে,
লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি তা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন?
এর জবাবে রাসূল সাঃ বলেনঃ
আমার এই ভয় হই যে বৃষ্টি আমার উম্মতের ওপর আজাব (শাস্তি) হিসেবে পতিত না হয়।
কেননা আগের উম্মতদের ওপর এ পদ্ধতিতে (বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে) আজাব পতিত হয়েছিল।
(মুসলিম, হাদিস নং: ৮৯৯)
তাই ঈমানদারদের ব্যক্তিদের উচিত, আকাশে বৃষ্টির ভাব দেখলে উল্লিখিত দোয়া পাঠ করা।
মেঘের গর্জন ও বজ্রপাতের দুআ
Jhor Batas Megher Gorjon Bojropat er Dua
মেঘের গর্জন ও বজ্রপাতের সময় পড়ার দোয়া
দুআ
اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ
হে আল্লাহ! তোমার গযব দিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেলো না, তোমার শাস্তি দিয়ে আমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করো না, বরং তার আগেই আমাদেরকে মাফ করে দাও।
(তিরমিযী শরীফ: ৩৪৫০)
সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম মেঘের গর্জন শুনলে এই দো‘আ পড়তেন।
আমির ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা মেঘের গর্জন (বজ্রপাত) শুনলে কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই দো‘আ পড়তেনঃ
দুআ
سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلاَئِكةُ مِنْ خِيفَتِهِ
উচ্চারণ
সুবহানা-ল্লাযী ইউসাব্বিহুর-রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল-মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহি।
অর্থ
পবিত্র-মহান সেই সত্তা, রা‘দ ফেরেশ্তা যাঁর মহিমা ও পবিত্রতা প্রশংসার সাথে ঘোষণা করে, আর ফেরেশ্তাগণও তাই করে যাঁর ভয়ে।
তার পর তিনি (আমির ইবন আবদুল্লাহ) বলতেন, যমীনের অধিবাসীদের জন্য এই আওয়াজ অত্যন্ত কঠিন আযাবের সংবাদ।
(মুওয়াত্তা মালেক: ২৮৩৯)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠক!
আমার নাম মোঃ নাজামুল হক, আমি একটি ইসলামী মাদ্রাসার শিক্ষক।
আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনে ইসলামিক প্রবন্ধ লিখতে থাকি, যাতে মানুষ সঠিক বিষয় জানতে পারে।
আপনি আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং সঠিক তথ্য থেকে উপকৃত হন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের কোন ভুল সম্পর্কে জানাতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।