ইসলামী বিবাহের আসল উদ্দেশ্য কি?
নিকাহের (বিবাহের ) গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা।
বিবাহ একটি প্রাকৃতিক প্রয়োজন।
বিশ্বের মধ্যে জনবসতি বজায় রাখতে আল্লাহ তায়ালা নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক আকর্ষণ রেখেছেন।
এখন এই আকর্ষণের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা যেমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে ও একটি অযোগ্য কাজ।
ঠিক তেমনি এটাকে অনিয়ন্ত্রিত করাও অনুচিৎ।
বিবাহের কোন উদ্দেশ্য এবং সিস্টেম থাকা উচিত
কারণ যদি বিবাহের কোন সিস্টেম না থাকে, শুধুমাত্র লালসা এবং যৌনতাকে আসল উদ্দেশ্য বানিয়ে দেওয়া হয়,
এবং কোন দায়িত্ব ছাড়াই এক অপরের সাথে মজা এবং উপভোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে মানব জাতি এবং প্রাণীর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।
এবং মানব জাতির (একেঅপরের) যত্ন ও প্রশিক্ষণের সূক্ষ্ম দায়িত্ব নিতে কেউ প্রস্তুত হবে না।
এবং পশ্চিমা ধারণা অনুসারে “ব্যবহার কর এবং ফেলে দাও” প্রবাদের একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে,
যেমনটি আজকে ইউরোপের অবস্থা,
যেখানে নাজায়েজ সম্পর্ক (অবৈধ সম্পর্ক) থেকে জন্ম নেওয়া মানুষদের বাড়াবাড়ি মানবসমাজের সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়ে মানবতাকে চরম বিপদ ও সংকটে ফেলেছে।
অতএব, মাধ্যম এবং ব্যবহারিক উপায় হল মানুষের স্বাভাবিক যৌন আকাঙ্ক্ষাকে পাক-পবিত্র ও বিশুদ্ধ পথের দিকে ধাবিত করে দেওয়া, যার নাম নিকাহ্ , বিবাহ ও Marriage.
এবং ঘৃণ্য ও অপবিত্রের উপায় ও পথ কে নিষিদ্ধ করে দেওয়া।
এই কারণেই, ইসলামে বিবাহের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এবং অনুভব ও অভিজ্ঞতাও প্রমাণ করে যে বিয়ে পবিত্রতা এবং বিশুদ্ধতার সবচেয়ে বড় উপায়।
এবং শয়তানের ধোঁকা ও যৌনচাহিদা ও অন্তরে লালসা বাসীদের গুনাহ দূরে রাখতে সবচেয়ে কার্যকর।
সাথে সাথে, এটি বিশ্বের জনসংখ্যা এবং শান্তি বজায় রাখার কারণ এবং মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক প্রয়োজন।
ব্রহ্মচর্য ও অদ্বৈতবাদের জায়গায় নিকাহের (বিবাহের) আদেশ দিয়ে ইসলাম তার স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক ধর্মের পূর্ণ প্রমাণ দিয়েছে।
আবূ দাউদ শরীফের এক হাদীসের মধ্যে আছে যে এক সময় নবীজী বিবাহকে উৎসাহিত করার জন্য এই উপদেশ দিয়েছিলেন:
অর্থ:- এমন নারীদেরকে বিয়ে করো যারা অনেক ভালোবাসে এবং তাদের সন্তান বেশি হয়,
কারণ তোমাদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে আমি শেষ বিচারের দিন (কিয়ামতের দিন) (অন্য নবীর উম্মতের উপর) বেশি গর্বিত হব।
(আবু দাউদ 01/280, হাদীস নং: 2050)
এ থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বিবাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো দুটি:-
- প্রথমত, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রাচুর পরিমাণে ভালবাসা, যা পরিবারে ঐক্যের প্রধান বা আসল কারণ।
- এবং দ্বিতীয়ত, শন্তানের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা, যার উপর বিশ্বের জনসংখ্যা নির্ভর করে;
অতএব, বিবাহকে কেবল ইন্দ্রিয়সুখ, আনন্দ ফুর্তি ও ভোগের মাধ্যম করা উচিত নয়,
বরং শয়তানের ধোঁকায, কুপ্রবৃত্তি, ভোগবিলাস ও লালসার পাপ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বিয়ে করা উচিত।
যার বিবাহ করার সামর্থ্য নেই সে কি করবে?
আর যার বিবাহ সামর্থ্য নেই সে যেন যথাসম্ভব রোজা রাখে, যে কথা হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন।
ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিয়ে না করা পবিত্র হাদিসে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
তাই সুধু মুসলমান নয় বরং প্রত্যেক মানুষেরই বিয়ে করা অবশ্যই কর্তব্য।
যদি বিবাহের কোন সিস্টেম না থাকে তাহলে কত রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, তা ভাবার বিষয়।
আর কারন বশত যদি কোন মানুষ বিবাহ্ করতে সক্ষম না হয় তাহলে যথাসম্ভব সে রীতিমতো রোজা রাখতে থাকে।
কারণ রোযা মানুষের দৈহিক (শারীরিক) চাহিদা কে কম করে, যার কারণে তার মনের মধ্যে কোন রকমের শয়তানি কুমন্ত্রণা আসে না।
আর যেনা (ব্যভিচারে) লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় এবং তার জীবন গুনাহ্ মুক্ত হয়ে যায়।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে এর প্রতি আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
-:আরো পড়ুন:-
নামাযের মধ্যে ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?
ইসলামিক বিয়ে
বিশ্বের মধ্যে জনবসতি বজায় রাখতে আল্লাহ তায়ালা নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক আকর্ষণ রেখেছেন।
এখন এই আকর্ষণের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা যেমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে ও একটি অযোগ্য কাজ।
একইভাবে, এই কাজটিকে একটি অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও ইচ্ছে মত করাও কঠোর ফিতনা, অশান্তি এবং পাপের একটি মাধ্যম।
বিবাহ কি ও কেন?
বিবাহ, একটি প্রাকৃতিক প্রয়োজন
বিশ্বের মধ্যে জনবসতি বজায় রাখতে আল্লাহ তায়ালা নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক আকর্ষণ রেখেছেন।
এখন এই আকর্ষণের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা যেমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে ও একটি অযোগ্য কাজ।
একইভাবে, এই কাজটিকে একটি অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও ইচ্ছে মত করাও কঠোর ফিতনা, অশান্তি এবং পাপের একটি মাধ্যম।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের নিয়ম
বিবাহ, একটি প্রাকৃতিক প্রয়োজন
বিশ্বের মধ্যে জনবসতি বজায় রাখতে আল্লাহ তায়ালা নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক আকর্ষণ রেখেছেন।
এখন এই আকর্ষণের চাহিদা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা যেমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে ও একটি অযোগ্য কাজ।
একইভাবে, এই কাজটিকে একটি অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও ইচ্ছে মত করাও কঠোর ফিতনা, অশান্তি এবং পাপের একটি মাধ্যম।
কারণ যদি বিবাহের কোন সিস্টেম না থাকে, শুধুমাত্র লালসা এবং যৌনতাকে আসল উদ্দেশ্য বানিয়ে দেওয়া হয় এবং কোন দায়িত্ব ছাড়াই এক অপরের সাথে মজা এবং উপভোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে মানব জাতি এবং প্রাণীর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।
এবং মানব মানব জাতির (একেঅপরের) যত্ন ও প্রশিক্ষণের সূক্ষ্ম দায়িত্ব নিতে কেউ প্রস্তুত হবে না।
সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করা যাবে কি?
সাক্ষী ছাড়া ইসলামী নিকাহ্ সম্পুর্ণ হয়না।
কমপক্ষে ২ জন সাক্ষী অনিবার্য।
সাক্ষী: দুই জন পুরুষ, অথবা এক জন পুরুষ এবং দুই জন নারী হতে পারে।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠক!
আমার নাম মোঃ নাজামুল হক, আমি একটি ইসলামী মাদ্রাসার শিক্ষক।
আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনে ইসলামিক প্রবন্ধ লিখতে থাকি, যাতে মানুষ সঠিক বিষয় জানতে পারে।
আপনি আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং সঠিক তথ্য থেকে উপকৃত হন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের কোন ভুল সম্পর্কে জানাতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।