হাদীসের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ও ফযীলত
Hadith er Aloke Bibaher Gurutto o Fozilot
বিবাহের গুরুত্ব ও ফযীলত
(প্রথম ভাগ)
নিকাহের (বিবাহের) গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বহু হাদীস এসেছে, তার মধ্যে এই (প্রথম) ভাগে দুটো হাদীস বর্ণনা করা হচ্ছে।
নিকাহ্ অর্ধেক ঈমান
মিশকাতুল-মাসাবীহ এবং আল-মু’জামুল-আওসাত-লিত-তাবারানী নামক হাদীসের গ্রন্থে একটি হাদিসে আছে যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থ: মানুষ যখন বিবাহ্ করে তখন সে তার অর্ধেক দ্বীনকে পূর্ণ করে নেয়, অবশিষ্টাংশ লাভের জন্য সে যেন আল্লাহভীতি অর্জন করে।
(মিশকাতুল মাসাবীহ: ০২/২৬৮)
(আল-মু’জামুল-আওসাত-লিত-তাবারানী ০৫/৩৭২, হাদীস নং: ৭৬৪৭)
বিয়েকে অর্ধ দ্বীন ঘোষণা করার কারণ হল, অধিকাংশ (বেশিরভাগ) গুনাহ মুখ ও গোপনাঙ্গের মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
যদি সে বিবাহ করে গোপনাঙ্গ কে পাপ থেকে বাঁচিয়ে রাখে, তাহলে সে যেন পাপের অর্ধেক পথ বন্ধ করে দিল এবং ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা বাঁচিয়ে নিল,
কিন্তু এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তখনই অর্জিত হবে যখন স্ত্রী নেককার এবং ধার্মিক হবে।
আল-মু’জামুল-আওসাত-লিত-তাবারানী ও আত-তরগীব-ওয়াত-তারহীব এর একটি দ্বিতীয় হাদিসে এইভাবে এর ব্যাখ্যা করা হয়েছে:
অর্থ: যাকে আল্লাহ্ তায়ালা বিবাহের জন্য একজন সৎ স্ত্রী দান করেন, তিনি তাকে তার অর্ধেক দ্বীনের মধ্যে টিকে থাকতে সাহায্য করবেন।
সুতরাং তাকে অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা উচিত।
(আল-মু’জামুল-আওসাত-লিত-তাবারানী: ০২/২৭৯, হাদীস নং: ৯৭২)
(আত-তরগীব-ওয়াত-তারহীব: ২৯৮২, শুআবু-ঈমান-লিল-বায়হাকী: ০৪/৩৮৩, হাদীস নং: ৫৪৮৭)
কোন ধরনের মেয়েদেরকে বিয়ে করা উচিত
Kon dhoroner Meyeder ke Biye kora uchit?
বুখারী শরীফের একটি হাদীসে আছে, আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
অর্থ:- চারটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য (খেয়াল) রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়ঃ
- তার সম্পদ,
- তার বংশমর্যাদা,
- তার সৌন্দর্য,
- তার দীনদারী।
সুতরাং তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আত্মীয়তার (বিবাহের বন্ধন গড়ার) ক্ষেত্রে তাকওয়া বা পরহেযগারী বিশেষভাবে পালন করা উচিত।
বিশেষ করে পাত্র পাত্রী নির্বাচনের সময় তাদের সম্বন্ধে এই বিষয়টি ভালো ভাবে জেনে নেওয়া যে, তারা কতটা দ্বীনদার ও পরহেযগার?
ছেলে পক্ষ হলে মেয়ের ও মেয়ে পক্ষ হলে ছেলের বিষয়ে জেনে নেওয়া অত্যান্ত প্রয়োজন।
সাথে সাথে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিষয়েও ভালমন্দ জেনে নেওয়া উচিত ।
এই সমস্ত কথা ” কিতাবুল মাসাইল ” নামক গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
লেখক: মুফতী সালমান মনসুরপুরী সাহেব।
প্রাক্তন শিক্ষক: জামিয়া কাসমিয়া মাদ্রাসা শাহী মুরাদাবাদ।
বর্তমান শিক্ষক: জামিয়া দারুল উলূম দেওবন্দ, উত্তর প্রদেশ, ভারত।
-:আরো পড়ুন:-
কুরআনের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ও ফজিলত
নিকাহ্ সম্পর্কে কিছু হাদীস
একটি হাদিসে আছে যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থ:- মানুষ যখন বিবাহ্ করে তখন সে তার অর্ধেক দ্বীনকে পূর্ণ করে নেয়, অবশিষ্টাংশ লাভের জন্য সে যেন আল্লাহভীতি অর্জন করে।
(মিশকাতুল মাসাবীহ: ০২/২৬৮)
একটি দ্বিতীয় হাদিসে এইভাবে এর ব্যাখ্যা করা হয়েছে:-
অর্থ:- যাকে আল্লাহ্ তায়ালা বিবাহের জন্য একজন সৎ স্ত্রী দান করেন, তিনি তাকে তার অর্ধেক দ্বীনের মধ্যে টিকে থাকতে সাহায্য করবেন।
সুতরাং তাকে অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা উচিত।
(আল-মু’জামুল-আওসাত-লিত-তাবারানী: ০২/২৭৯, হাদীস নং: ৯৭২)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠক!
আমার নাম মোঃ নাজামুল হক, আমি একটি ইসলামী মাদ্রাসার শিক্ষক।
আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনে ইসলামিক প্রবন্ধ লিখতে থাকি, যাতে মানুষ সঠিক বিষয় জানতে পারে।
আপনি আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং সঠিক তথ্য থেকে উপকৃত হন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের কোন ভুল সম্পর্কে জানাতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।
1 thought on “হাদীসের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hadith er Aloke Bibaher Gurutto o Fazilat”