আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযীলত
Ayatul Kursi Porar Fozilot
পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সুরা আল-বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত আয়াতুল কুরসী নামে পরিচিত।
আয়াতটিতে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা এ আয়াতের মধ্যে অনেক ফযীলত রেখেছেন।
এটি পাঠ করলে অসংখ্য পুণ্য (নেকি) পাওয়া যায়।
ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়লে কি হয়?
আয়াতুল কুরসী পাঠ করার প্রথম ফযীলত
আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবি (সাঃ) বলেন,
যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসি ’ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না।
(সুনানুল-কুবরা লিন-নসাঈ: ৯৮৪৮)
অর্থাৎ, তার জান্নাতে প্রবেশ হওয়ার জন্য শুধু মৃত্যু বাধা আছে, মৃত্যু হওয়ার পর আল্লাহ্ চাইলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
রাত্রে আয়াতুল কুরসী পড়লে কি হয়?
আয়াতুল কুরসী পাঠ করার দ্বিতীয় ফযীলত
রাত্রে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে তার জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত হবে এবং ভোর (সকাল) পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না।
(সহীহ বুখারী: ২৩১১)
অর্থাৎ, রাত্রে পড়লে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়ার ফযীলত
আয়াতুল কুরসী পাঠ করার তৃতীয় ফযীলত
যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত জ্বিন ও শয়তানের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদে থাকবে।
আর যে সকালে পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে।
(মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস: ২০৬৪)
অর্থাৎ, সকাল ও সন্ধ্যায় এক বার পড়লে সারা দিন রাত জ্বিন ও শয়তানদের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকবে।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠক!
আমার নাম মোঃ নাজামুল হক, আমি একটি ইসলামী মাদ্রাসার শিক্ষক।
আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইনে ইসলামিক প্রবন্ধ লিখতে থাকি, যাতে মানুষ সঠিক বিষয় জানতে পারে।
আপনি আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন এবং সঠিক তথ্য থেকে উপকৃত হন।
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আমাদের কোন ভুল সম্পর্কে জানাতে চান, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, জাযাকুমুল্লাহু খাইরন।